ইসরায়েলের ক্ষোভকে পাত্তা না দিয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল ইউরোপের তিন দেশ—স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে।মঙ্গলবার (২৮ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তটি দীর্ঘদিন ধরে চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
দেশগুলো বলেছে, তাদের এই স্বীকৃতি দেয়ার মানে হলো মধ্যপ্রাচ্যের চলমান যুদ্ধের একটি রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করার প্রতি সবার মনোযোগ আকর্ষণ করা।ফিলিস্তিনের প্রতি ইউরোপের আগের চেয়ে বেশিসংখ্যক দেশের এমন সমর্থনের পরিপ্রেক্ষিতে গাজা যুদ্ধের সাত মাস পর ইসরায়েল এখন মনে করছে, বিশ্বে ক্রমেই তারা আরও বেশি একঘরে হয়ে পড়ছে।এই ঘটনায় আগেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল।
ইতিমধ্যে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যদেশের মধ্যে প্রায় ১৪৪টি দেশই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেছেন যে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি “মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির একমাত্র পথ”।
আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিচেল মার্টিন বলেছেন যে, এটি “আন্তর্জাতিক আইনের নীতির উপর ভিত্তি করে একটি ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী সমাধানের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ”।
নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ইয়োনাস গার বলেছেন যে, “এটি দীর্ঘদিনের অধিকারহীনতার অবসান ঘটানোর সময় এসেছে”।
এই তিন দেশ ছাড়াও, সুইডেন, আইসল্যান্ড, এবং কসোভো পূর্বেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
তবে, ইসরায়েল এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়াইর লাপিড বলেছেন যে, “এটি একটি ভুল পদক্ষেপ যা শান্তির পথে বাধা সৃষ্টি করবে”।এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। কিছু দেশ এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে, অন্যরা ইসরায়েলের সাথে একমত হয়েছে।ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দীর্ঘমেয়াদী ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি শান্তি প্রক্রিয়ার উপর কী প্রভাব ফেলবে তা এখনও দেখা বাকি।