উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ সামান্য উত্তরদিকে অগ্রসর হয়েছে। এটি মোংলার দক্ষিণপশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আগামী ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে দমকা হাওয়াসহ ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি বয়ে যাচ্ছে দেশের উপকূল অঞ্চলে । এর প্রভাবে বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী ও সাতক্ষীরা এবং চট্টগ্রামে ৯ জনের প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে । ৫ থেকে ৬ ফুট উচ্চতার ঢেউ আঘাত হানে উপকূলে। পটুয়াখালীতে উত্তাল ঢেউয়ে ভেসে ১ জন এবং সাতক্ষীরায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে ১ জনের প্রাণ গেছে। মোংলায় ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ রয়েছে শিশুসহ দুইজন। এছাড়াও বরিশাল, ভোলা ও চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে ও জলোচ্ছ্বাসে ২৭ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া, নদী ও সাগরের পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১১ কিলোমিটারে।
স্থানীয়রা জানান, দুর্বল বাঁধে কারণে ঘূর্ণিঝড় শুরু আগেই ভেঙে যায় অধিকাংশ বেড়িবাঁধ। এতে সুরক্ষার প্রথমপর্যায়েই ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। ঘরবাড়ি প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি ভেসে গেছে মাছের ঘের।
বাতাসের গতিবেগে বেড়ে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব দৃশ্যমান হতে শুরু করলে একের পর এক উপকূলের জনপদ বিদ্যুৎবিহীন হতে শুরু করে সন্ধ্যার পর থেকে। দমকা বাতাসে গাছপালা ভেঙে কিংবা উপরে পড়ার কারণে জেলাগুলোর ৩০ লাখের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
ইতিমধ্যে প্রায় আট লাখ লোক আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।পরিস্থিতি এখনও চলমান, তাই মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে পারে।