চলতি মাসের ১৯ তারিখে ইতু মিয়াজিকে আর্কিটেকচার বিভাগে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ আদেশ দেয় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট)কর্তৃপক্ষ। তারপরে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় ডুয়েট শিক্ষার্থীদের মধ্যে। একপর্যায়ে ডুয়েট শিক্ষার্থীরা আন্দোলন ও মানববন্ধন শুরু করে।
তারা বলছেন, টিকটকে ভিডিও নিয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা এমন শিক্ষক চাই না, যার রুচিবোধ, আচার-আচরণ সমাজের প্রচলিত শিক্ষক, শিক্ষাব্যবস্থা কিংবা সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। একজন শিক্ষক শুধু একাডেমিক্যালি কিছু শেখাবেন বিষয়টা এমন নয়। তার সামগ্রিক সবকিছু শিক্ষার্থীরা ফলো করে, তার কাছে থেকে পড়াশোনার বাইরেও নানান কিছু শিখে। ইতু মিয়াজী কুরুচীকর ভিডিও করেন বলেই তারা তাকে শিক্ষিকা হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না।
ইতু মিয়াজির নিয়োগ আদেশ বাতিল এবং স্থায়ী ভাবে বহিষ্কার করার জন্য ইতিমধ্যে আবেদন করেছে শিক্ষার্থীরা। এই বিষয় আর্কিটেকচার বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. বায়েজিদ ইসমাইল চৌধুরী বলেন,সকল প্রক্রিয়া মেনেই স্বচ্ছতার ভিত্তিতে তাকে (ইতু মিয়াজী) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীরা দাবি করেছে, ইতু মিয়াজি টিকটকে আপত্তিকর কনটেন্ট প্রচার করেন। তাকে শিক্ষক হিসেবে মেনে নিতে শিক্ষার্থীরা আপত্তি জানিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করতে শিগগির একটি কমিটি গঠন করা হবে।ইতোমধ্যে ওই শিক্ষিকাকে পরীক্ষার দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখার পাশাপাশি বুধবার থেকে তাকে এক সপ্তাহের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
ইতু মিয়াজি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে আর্কিটেকচার বিভাগ থেকে পাস করেছেন। আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি আর কুরুচিকর ‘টিকটক’ ভিডিও কনটেন্ট তৈরির জন্য বেশ আগে থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত-সমালোচিত নিশাদ জাহান ইতু মিয়াজি।